মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫ ইতিহাস: কোথায় ও কখন হয় | Maha Kumbh Mela 2025 in Bengali

মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫: দেশ-বিদেশ থেকে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু, অঘোরি, পুণ্যার্থীরা এসে ভিড় করেছেন উত্তর প্রদেশের ত্রিবেণী সঙ্গম, প্রয়াগরাজে। উদ্দেশ্য প্রধানত একটাই পুণ্য লগ্নে গঙ্গাস্নান করে নিজের সব পাপ ধুয়ে নেওয়া। তবে এই বছরের কুম্ভ অনান্য বছরের তুলনায় একটু অন্যরকম। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৪৪ বছরে একবার এমন বিরল যোগ আসে। তাই তো এই কুম্ভের নাম ‘মহাকুম্ভ’(Maha Kumbh)। কোন বিরল যোগের কারণে এই কুম্ভ মহাকুম্ভ? কুম্ভ কত রকমের হয়? কেন এটি উদযাপিত হয়, কুম্ভ মেলা কে শুরু করেছিলেন,সাধুদের সঙ্গেই বা এই মেলার কী যোগ?কুম্ভ মেলার গল্প কী ইত্যাদি? আসুন এই নিবন্ধটি পড়ুন।

কুম্ভ মেলার ইতিহাস

কুম্ভ মেলার (Kumbh Mela 2025) প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে কারোই সঠিক ধারণা নেই তাই কুম্ভ মেলা ঠিক কখন শুরু হয়েছিল তা বলা কঠিন। বিশ্বাস করা হয় যে ক্রেতাযুগে একবার ঋষি দুর্বাসার অভিশাপে শ্রী হীন হয়ে পরে দেবতারা। ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মী আশ্রয় নেন পাতাল লোকে। অন্ধকার ছেয়ে যায় বৈকুন্ঠ লোকেও। এর পরেই ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন দেবতারা। তাঁর পরামর্শে দেবতারা অসুরদের সঙ্গে নিয়ে শুরু করলেন সমুদ্র মন্থন।

সর্পরাজ, বাসুকিকে সমুদ্র মন্থনের জন্য মেরু পর্বতের চারপাশে দড়ি হিসেবে কাজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই অনুসারে বাসুকি দড়িতে পরিণত হন এবং মেরু পর্বতের চারপাশে আবদ্ধ হন। দেবতারা সর্পের লেজ এবং অসুররা মুখ ধরে সমুদ্র মন্থন করেছিলেন। তখন একের পর এক মূল্যবান হিরে-মানিকের সঙ্গে উঠে আসে কলস ভর্তি অমৃত।

অমৃতর ঘড়া উঠে আসতেই তা দাবি করে বসেন অসুররা। তখন ১২ দিন ধরে সেই ঘড়াকে নিয়ে অসুর এবং দেবতাদের মধ্যে চলে ভীষণ যুদ্ধ। সেই সময় পৃথিবীর চারস্থানে চার ফোঁটা অমৃত পড়ে যায়। সেই সময় চন্দ্র কুম্ভকে ক্ষরণ থেকে, সূর্য কুম্ভ বিস্ফোরণ থেকে, দেবগুরু বৃহস্পতি অসুরদের অপহরণ থেকে এবং শনি দেবেন্দ্রের ভয় থেকে অমৃতের ঘটকে রক্ষা করেছিলেন। শেষে ভগবান বিষ্ণু মোহিনী অবতারে অমৃত বন্টন করে যুদ্ধের অবসান ঘটান। দেব-অসুরের ১২ দিনের যুদ্ধ মনুষ্য লোকে ১২ বছরের সমান। তাই ১২টি কুম্ভ রয়েছে। যার ৪টি (প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার , উজ্জয়িনী , নাসিক) রয়েছে পৃথিবীতে বাকি ৮ কুম্ভ আছে দেবলোকে। মনুষ্য লোকের এই ৪ কুম্ভেই গ্রহের অবস্থান দেখে আয়োজন করা হয় কুম্ভ মেলার।

সমুদ্র মন্থনের সময়, সমুদ্র থেকে চৌদ্দটি অনন্য জিনিস বেরিয়ে আসে –

  1. বিষ,
  2. কামধেনু (একটি ইচ্ছা পূরণকারী গাভী),
  3. উচ্ছৈঃ-আশ্রব (একটি সাদা ঘোড়া),
  4. ঐরাবত (চারটি দাঁতওয়ালা হাতি),
  5. কৌস্তুভ মণি (একটি হীরা),
  6. পারিজাত কল্পবৃক্ষ (একটি ইচ্ছা পূরণকারী গাছ),
  7. দেবাঙ্গনা (স্বর্গীয় কুমারী) যেমন রম্ভা ইত্যাদি,
  8. শ্রী লক্ষ্মীদেবী (শ্রীবিষ্ণুর স্ত্রী),
  9. সুর (মদ),
  10. সোম (চন্দ্র),
  11. হরিধনু (একটি ঐশ্বরিক ধনুক),
  12. একটি শঙ্খ, ধন্বন্তরী এবং অমৃতকলশ বা অমৃতকুম্ভ (অমৃতের পাত্র)।

কুম্ভমেলার প্রকারভেদ

মহাকুম্ভমেলা: মহাকুম্ভ (Maha Kumbh) শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হয়। এটি প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর অথবা ১২ পূর্ণা (সম্পূর্ণ) কুম্ভমেলার পরে অনুষ্ঠিত হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মেষ রাশির চক্রে বৃহস্পতি, সূর্য ও চন্দ্র মকর রাশিতে প্রবেশ করলে মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়।

পূর্ণাকুম্ভমেলা: এটি প্রতি ১২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। মূলত ভারতের ৪টি কুম্ভমেলা স্থানে অর্থাৎ প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনীতে অনুষ্ঠিত হয়। এটি প্রতি ১২ বছর অন্তর এই ৪টি স্থানে আবর্তিত হয়।

অর্ধকুম্ভমেলা: এর অর্থ হল অর্ধকুম্ভমেলা যা ভারতে প্রতি ৬ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় শুধুমাত্র দুটি স্থানে অর্থাৎ হরিদ্বার এবং প্রয়াগরাজে।

কুম্ভমেলা: চারটি ভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয় এবং রাজ্য সরকার দ্বারা আয়োজিত হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ আধ্যাত্মিক উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করে।

মাঘ কুম্ভমেলা: এটি মিনি কুম্ভমেলা নামেও পরিচিত যা প্রতি বছর এবং শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হয়। এটি হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে মাঘ মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

কীভাবে কুম্ভমেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়

কুম্ভমেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয় সূর্য ও বৃহস্পতির অবস্থান দেখে। কখন ও কোথায় কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হবে তা নির্ধারণ করা হয় গ্রহ ও রাশিচক্রের অবস্থান দেখে।

বৃহস্পতি বৃষ রাশিতে ও সূর্য মকর রাশিতে থাকলে প্রয়াগে মেলার আয়োজন করা হয়।

যখন সূর্য মেষ রাশিতে থাকে ও বৃহস্পতি কুম্ভ রাশিতে থাকে তখন হরিদ্বারে কুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়।

যখন সূর্য এবং বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে থাকে, তখন নাসিকে কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতি যখন সিংহ রাশিতে এবং সূর্য মেষ রাশিতে থাকে, তখন উজ্জয়িনীতে কুম্ভের আয়োজন করা হয়।

আসলে ১২ বছরের পূর্ণ কুম্ভের ১২টি চক্র পূর্ণ হলে তবেই তৈরি হয় মহাকুম্ভের যোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে কেউ খুব ভাগ্যবান হলে নিজের সারা জীবনে একবার এই মহাকুম্ভে যাওয়ার সুযোগ পান।

maha kumbh mela 2025

নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা

1000 জীবন বিজ্ঞান MCQ সেট 3

অস্কার পুরস্কার ২০২৪ তালিকা

ভারতের বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ তালিকা

1000 ইতিহাস MCQ সেট-৫

1000 জীবন বিজ্ঞান MCQ সেট ২

Maha Kumbh Mela 2025

মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫ কোথায় ও কখন হয়

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, যে ১২টি স্থানে অমৃতের ফোঁটা পড়েছিল সেগুলিকে কুম্ভমেলা স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই ১২টি স্থানের মধ্যে ৮টি অন্যান্য লোকে (অঞ্চলে) এবং ৪টি পৃথিবীতে – প্রয়াগ (এলাহাবাদ), হরিদ্বার (হরিদ্বার), উজ্জয়িনী এবং ত্র্যম্বকেশ্বর-নাশিক। এই স্থানগুলিতে, গ্রহগুলির অবস্থান এবং পৃথিবীতে অমৃতবিন্দু যে তিথিতে পড়েছিল সেই তিথি একই থাকলে কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়। কুম্ভমেলার সময়ও অমৃতকলশ স্মরণ করা হয়।

আসন্ন বছরে মহাকুম্ভ শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে। সেদিন পৌষ পূর্ণিমার স্নানের দিনে এই মহাকুম্ভের শুরু। আর তারপরই ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে এই মহাকুম্ভ শেষ হতে চলেছে। এই মহাকুম্ভের শেষের সময়ই পড়ছে মাহশিবরাত্রি। 

মহাকুম্ভ ২০২৫ পূণ্যস্নানের তারিখ

মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫ (Maha Kumbh Mela 2025 in bengali) এ দেশ-বিদেশ থেকে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু, সন্ন্যাসী, পুণ্যার্থীরা এসে ভিড় করেছেন উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। উদ্দেশ্য একটাই পুণ্য লগ্নে গঙ্গাস্নান করে নিজের সব পাপ ধুয়ে নেওয়া। তাই আপনিও যদি এই পুণ্য লগ্নে গঙ্গাস্নান করতে চান তাহলে এই বিশেষ দিনগুলিতে যেতে পারেন।

পৌষ পূর্ণিমা:- ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫।

মকর সংক্রান্তি:- প্রথম শাহি স্নান, ২০২৫, ১৪ জানুয়ারি।

মৌনী অমাবস্যা:- দ্বিতীয় শাহি স্নান, ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি।

বসন্ত পঞ্চমী:- ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি।

মাঘী পূর্ণিমা:- ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারি।

মহাশিবরাত্রি:- ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫।

কুম্ভমেলার ইতিহাস – বিভিন্ন সূত্রে কুম্ভমেলার উল্লেখ:


পবিত্র শাস্ত্রেও ‘কুম্ভমেলা’র উল্লেখ রয়েছে। ‘নারদ-পুরাণে’ ‘কুম্ভমেলা’কে অত্যন্ত উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

1. খুব কম পণ্ডিতের মতে, এই মেলা ৩৪৬৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শুরু হয়েছিল অর্থাৎ হরপ্পা এবং মহেঞ্জো-দারো সংস্কৃতির ১০০০ বছর আগে এটি একটি ঐতিহ্য ছিল।

2. ২৩৮২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, বিশ্বামিত্র (দ্বিতীয়) ‘মাঘ পূর্ণিমা’ তে পবিত্র স্নানের গুরুত্ব বর্ণনা করেছিলেন।

3. ১৩০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, মহর্ষি জ্যোতিষ ‘মাঘ পূর্ণিমা’ তে পবিত্র স্নানের গুরুত্ব মানুষকে প্রভাবিত করেছিলেন।

4. ডি. চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাংও তাঁর বইতে ‘কুম্ভমেলা’ বর্ণনা করেছেন। তাঁর বইতে ৬২৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট হর্ষবর্ধনের রাজ্যের প্রয়াগে হিন্দুদের মেলার উল্লেখ রয়েছে।

কুম্ভ মেলা ও আদি শঙ্করাচার্য


জগৎগুরু আদি শঙ্করাচার্য সর্বপ্রথম হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপন শুরু করেন ভারতীয় উৎসব হিসেবে, যা বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন ধর্মের সাধু-সন্ত এবং ধর্মীয় নেতাদের এতে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করে। তাঁর অনুপ্রেরণায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সাধু-সন্ত এবং ধর্মীয় নেতারা এতে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। বৈদিক রূপ দেওয়ার মাধ্যমে, আদি শঙ্করাচার্য এটিকে আরও মর্যাদা প্রদান করেন এবং এর ফলে এটি আরও স্বীকৃতি লাভ করে এবং ‘কুম্ভমেলায়’ সাধু-সন্ত এবং ধর্মীয় নেতাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পায়। ১৫১৫ সালে, শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু বাংলা থেকে এখানে এসেছিলেন। এই মেলায় জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মের অনুসারীরাও অংশ নেন। আজকাল, এমনকি বিদেশী নাগরিকরাও এই মেলায় প্রচুর উৎসাহের সাথে যোগ দেন।

স্বাধীন ভারতে প্রথম কুম্ভমেলা কবে ও কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল

স্বাধীনতার আগেও, কুম্ভ, অর্ধকুম্ভ এবং মাঘ মেলা ব্রিটিশ সরকার দ্বারা আয়োজিত হত। এই সময়ে, ইংল্যান্ড থেকে অফিসাররা আসতেন, যারা মেলার ব্যবস্থাপনা দেখাশোনা করতেন। স্বাধীন ভারতে প্রথম কুম্ভমেলা (Kumbh Mela) এই প্রয়াগরাজেই ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এই কুম্ভ আয়োজনের প্রস্তুতি কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরু এবং রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদও এই কুম্ভে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরু মৌনী অমাবস্যার দিন সঙ্গমের তীরে স্নান করেছিলেন। এই সময়, একটি হাতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পর একটি দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায় যে এতে ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল। সেই থেকে কুম্ভে হাতির প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়।

সাধু সন্ন্যাসীদের কাছে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ মহাকুম্ভ?

কেবল মহাকুম্ভই (Maha Kumbh Mela 2025) নয়, নাগা সাধু, সন্ন্যাসী, অঘোরিদের কাছে সব কুম্ভই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে নিজের ব্রহ্মচারী দশার কঠোর ত্যাগের পরে নাগা সাধু হওয়ার যোগ তৈরি হয়। অঘোরিরাও বিশেষ যোগের সময় নানা ধরনের পুজো পাঠ, সাধনা করে থাকেন। বিশ্বাস, কুম্ভ মেলায় ৪৫ দিন ধরে কল্পবাসের পরে সাধনা করে পুণ্য লগ্নে গঙ্গায় মহাস্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। তাই দেশ-বিদেশ থেকে সকলে এসে ভিড় জমান এই কুম্ভ মেলায়।

পৌরাণিক বিশ্বাস মহাকুম্ভের সময় পৃথিবীতে স্বর্গের দরজা খুলে যায়, দেবতারাও পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং পবিত্র সঙ্গমে স্নান করেন। শিবপুরাণ অনুসারে, ভগবান শিব, দেবী পার্বতী এবং কৈলাসের অন্যান্য বাসিন্দারা মাঘ পূর্ণিমার দিনে ছদ্মবেশে কুম্ভে আসেন। জ্যোতিষীরা বলছেন, এই সময়ে সূর্য, শনি, চন্দ্র ও বৃহস্পতির অবস্থান সাগর মন্থনের সময়ে যেমন ছিল। এটি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র বৃদ্ধি করে এবং মানবদেহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Mela) আধ্যাত্মিক পাশাপাশি বস্তুগত দিক থেকেও উপকারী।

কুম্ভ মেলা 2025 কোথায় হবে?

Ans. এই বছরে মহাকুম্ভ শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে। সেদিন পৌষ পূর্ণিমার স্নানের দিনে এই মহাকুম্ভের শুরু। আর তারপরই ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে এই মহাকুম্ভ শেষ হতে চলেছে।

কুম্ভ মেলা কে চালু করেছিলেন?

Ans. আদি শঙ্করাচার্য কুম্ভ মেলা চালু করেছিলেন


কুম্ভ মেলা কত বছর পর পর হয়?

Ans. ১২ বছরের পূর্ণ কুম্ভের ১২টি চক্র পূর্ণ হলে তবেই তৈরি হয় মহাকুম্ভের যোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *