বাংলা বাগধারা তালিকা ও অর্থ | Idioms in Bengali

আজ আমরা বাংলা বাগধারা Idioms in Bengali নিয়ে আলোচনা করবো। শুধুমাত্র স্কুলের পরীক্ষায় নয়, বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষায় এর অগাধ যাতায়াত। তবে এর মধ্যে শুধু মাত্র অ থেকে পর্যন্ত বাগধারা (Idioms) দেওয়া হল। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য নিচে তালিকা ও অর্থ দেওয়া হল।

Idioms in Bengali

অর্জুন পুরস্কার ২০২৩

নোবেল পুরস্কার ২০২৩ তালিকা

বাগধারা Idioms in Bengali

বাগধারাঅর্থ
অ আ ক খবর্ণজ্ঞান; বর্ণমালা, প্রাথমিক বা সাধারণ জ্ঞান
অকর্মার ধাড়িঅকাজে অগ্রগণ্য; কোন কাজের নয়; নিতান্ত অলস ব্যাক্তি;
অকলের/আকলের শত্রু/ অকলকে দুশমনমূর্খ (মনে যখন কোন প্রশ্ন জাগে না তখন তোমাকে অকলের শত্রু বলে মনে হচ্ছে।)
অকস্মাৎ বজ্রপাতঅপ্রত্যাশিত বিপদ (বাবা মারা গেলেন পরিবারে অকস্মাৎ বজ্রপাত হল।)
অকাজের গোঁসাইঅনুচিত কাজ করতে মুখিয় থাকা ব্যক্তি।
অকারণে হৈচৈঅহেতুক চিন্তা; সমার্থক বাগধারা- ‘মাথা নেই তার মাথাব্যথা’।
অকালদুর্ভিক্ষ (অকালে কি না খায়)।
অকাল-অপক্কবোকা; বয়সোচিত ব্যবহার বা বুদ্ধির অভাব
অকালকুষ্মাণ্ড অকর্মণ্য; অকেজো; অপদার্থ; কোন কাজের নয়
অকালপক্কডেঁপো; বয়সের তুলনায় বেশি পাকা; বালকবয়সে বড়দের মত আচরণ যার
অকালবসন্তসময়ের আগেই সুখের সূচনা।
অকালবোধনঅনুপযুক্ত সময়ে কোন শুভ কাজের সূচনা।
অকালমৃত্যুপরিণত বয়সের আগে মৃত্যু।
অকালসন্ধ্যাঅসময়ে আগত সময়।
অকালের বাদল/বাদলাঅপ্রত্যাশিত বাধা।
অকালের তালঅসময়ে প্রাপ্ত দ্রব্য।
অকূল/অকূলদরিয়া/অকূলপাথারকঠিন বিপদ; চরম/মহাসংকট; (বাবা মারা যাওয়ায় আমি অকূলে পড়েছি)
অকূলতারণবিপদে যে রক্ষা করে এমন ব্যক্তি
অকূলে কূল পাওয়ানিরুপায় অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়া; গভীর সঙ্কটে সাহায্য পাওয়া; মহাবিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া।
অকূলে ডোবা/পড়াভীষণ বিপদ বা মহাসঙ্কটে পড়া।
অকূলদরিয়ায় ভাসাকঠিন বিপদে পড়ে দিশেহারা হওয়া
অকূলের কূলবিপদে ত্রাণকর্তা; সমার্থক বাগধারা- অকূলতারণ।
অকূলের ভেলাএকান্ত নিরুপায় অবস্থার শেষ অবলম্বন।
অক্কা পাওয়া/ অক্কাপ্রাপ্তিকৌতুকে- ঈশ্বরপ্রাপ্তি; মৃত্যু
অক্টোপাসচারিদিক থেকে আসা মারাত্মক আক্রমণ (নানাসমস্যা চারিদিক থেকে আমাকে অক্টোপাসের মত জড়িয়ে ধরেছে)।
অক্ষয়বটঅতিপ্রাচীন ব্যক্তি; অতিবৃদ্ধ ব্যক্তি
অক্ষরজ্ঞান/পরিচয়সামান্যতম জ্ঞান (এই বিষয়ে আমার অক্ষরপরিচয় নেই); প্রাথমিক শিক্ষা; হাতে খড়ি (শিশুটির এখনো অক্ষরপরিচয় হয় নি)।
অক্ষরে অক্ষরেকিছুমাত্র অন্যথা না করে; কোন ব্যতিক্রম না করে; যথাযথভাবে; সম্পূর্ণভাবে (তোমার নির্দেশ আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি)।
অক্সিজেন জোগানোবাঁচার আশ্বাস পাওয়া; বিপদে ভরসা দেওয়া।
অখদ্যে অবদ্যেঅকর্মণ্য; অপদার্থ (তোমার মত অখদ্যে অবদ্যেকে দিয়ে এ কাজ হবে না)।
অখন-তখন অবস্থাআশঙ্কাজনক অবস্থা; যেকোন সময় মারা যেতে পারে; (রোগীর অবস্থা অখন-তখন); সমার্থক বাগধারা- যখন তখন অবস্থা; যায় যায় অবস্থা
অগতির গতিঅনন্যোপায়ের উপায়,নিরাশ্রয়ের আশ্রয়,পতিতপাবন; পতিতের উদ্ধারক ঈশ্বর; বিপদতারণ।
অগত্যা মধুসূদনঅনন্যোপায় হয়ে; নিমরাজী (কেউ যখন রাজী নয় তখন অগত্যা মধুসূদন আমিই এই কাজ করবো)।
অগভীর জলের পুঁটিমাছঅল্প ধন/বিদ্যা নিয়ে বড়াইকারী লোক।
অগর-মগর করানানা অজুহাত দেখানো; ‘কিছু করা বা না’-করার পক্ষে নানা অজুহাত/ওজর/যুক্তি দেখানো (চাকরকে অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করাতে সে অগর-মগর করতে লাগল)।
অগস্ত্যযাত্রাচিরদিনের জন্য প্রস্থান; শেষযাত্রা, যে-যাত্রায় বিদেশযাত্রী আর ঘরে ফিরে আসে না;
অগা/অগাকান্ত/অগাচণ্ডী/ অগামারা/অগারামবিদ্রুপে- নির্বোধ, অকর্মা বলে গালি; স্নেহযুক্ত তিরস্কারে- অগাকান্ত ও অগারাম; তুচ্ছার্থক তিরস্কারে- অগামারা।
অগাধ জল/সমুদ্রচরম বিপদ (চাকরিটা চলে যাওয়ায় অগাধ জলে পড়েছি)।
অগাধ জলের মাছখুব চালাক লোক; সুচতুরব্যক্তি; যার মনোভাব বোঝা যায় না,গভীর জলের মাছ।
অগ্নি-অবতারঅতিতেজস্বী পুরুষ; অগ্নিমূর্তি; অগ্নিশর্মা।
অগ্নিকন্যাঅতিতেজস্বী নারী।
অগ্নিকাণ্ডবিষম অনর্থ; তুলকালামকাণ্ড; তুমুল ঝগড়াবিবাদ; প্রচণ্ড মারামারি (সংসারে অগ্নিকাণ্ড চলছে)।
অগ্নিগর্ভঅত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ; উত্তপ্ত (অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে; অগ্নিগর্ভ বক্তৃতা)।
অগ্নিচক্ষু/দৃষ্টিকঠোর দৃষ্টি
অগ্নিদাতাহিন্দুদের মধ্যে যে মৃতের মুখাগ্নি করে।
অগ্নিপরীক্ষাকঠিন পরীক্ষা; কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন (সীতার অগ্নিপরীক্ষা)
অগ্নিবর্ধকক্ষুধাবর্ধক; পরিপাকশক্তিবর্শক।
অগ্নিবর্ষণক্রোধপ্রকাশ
অগ্নিবলক্ষুধা (গরীবের অন্নবল নেই, অগ্নিবল আছে।)
অগ্নিবাণচরম আঘাত ।
অগ্নিবৃদ্ধিক্ষুধাবৃদ্ধি; পরিপাকধক্তি বৃদ্ধি (পরিশ্রম করলে অগ্নিবৃদ্ধি হয়)।
অগ্নিমান্দ্যঅক্ষুধা; অজীর্ণ রোগ; পরিপাকশক্তির অল্পতা; মন্দাগ্নি (লোকে বৃদ্ধবয়সে অগ্নিমান্দ্য রোগে ভোগে)।
অগ্নিমূর্তিঅতিশয় ক্রুদ্ধ (শিক্ষকমশাই অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছেন।);
অগ্নিমূল্যঅত্যন্ত আক্রা; চড়াদাম (জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্যে মানুষ বিপর্যস্ত)।
অগ্নিশর্ম/শর্মাঅত্যন্ত কোপনস্বভাব-ব্যক্তি; ক্রুদ্ধ, ক্ষিপ্ত ,অগ্নি-অবতার, অগ্নমূর্তি; ভস্মলোচন।
অগ্নিসংস্কারমন্ত্র পড়ে শবদাহ্; মৃতদেহ সৎকার।
অগ্নিসাক্ষীআগুন ছুঁয়ে বা আগুনকে সাক্ষী রেখে শপথ (অগ্নিসাক্ষী করে বলছি আমি এ ব্যাপারে বিন্দুবিসর্গ জানি না)।
অগ্নিসেবনআগুনের তাপ উপভোগ (কাঠ জ্বালিয়ে অগ্নিসেবন করছি)।
অগ্নিতে ঘৃতাহূতিউত্তেজনা/ক্রোধবৃদ্ধি ,আগুনে ঘি ঢালা; আগুনে ধুনো দেওয়া।(একেই উত্তেজনা চরমে, আর অগ্নিতে ঘৃতাহূতি দিও না।)
অগ্নিতে বারিবর্ষণউত্তেজনা/ক্রোধহ্রাস; রাগ স্থিমিত;
অগ্রদূতপথপ্রদর্শক।
অগ্রপশ্চাৎভালমন্দ,ভূত-ভবিষ্যৎ।
অগ্রপাণিআঙুল; ডানহাত
অঙ্কলক্ষ্মী/অঙ্কশায়িনীপত্নী; স্ত্রী।
অঙ্কুরে বিনষ্টশুরুতেই নাশ/বিনাশ (সাফল্যের আশা অঙ্কুরেই বিনষ্ট)।
অঙ্কুরোজ্ঞমকোন কিছুর সূত্রপাত।
অঙ্কুশ তাড়নাগোপনে বা ভিতর থেকে তাড়না।
অঙ্গ জল হওয়াক্রোধ প্রশমিত হওয়া; শান্ত হওয়া (মেয়ের মুখ দেখলে বাবার অঙ্গ জল হয়)।
অঙ্গ জ্বালাঅসন্তোষ; বিরক্তি (রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা শুনলে অঙ্গ জ্বালা করে);
অঙ্গুলি নির্দেশ/হেলনআঙুলের ইসারা; আঙুলের নির্দেশ।
অচল পয়সাঅকেজো; কোন কাজের নয়; কোন দাম নেই; মূল্যহীন (তোমার মত অচল পয়সা দিয়ে আমার কাজ হবে না)।
অচিনপাখিপ্রাণ/প্রাণবায়ু
অজগ্রাম/অজপাড়া/অজ পাড়াগাঁনিতান্ত অপরিচিত ক্ষুদ্রপল্লী।
অজমূর্খআকাট/নিরেট বোকা/মূর্খ।
অজাতশত্রুযার শত্রু নাই; যার শত্রু জন্মায়নি; যে শত্রুতা করে না (অজাতশত্রু যুধিষ্ঠির)
অজুহাতওজর আপত্তি; কারণনির্দেশ; বাহানা (অক্ষমের অজুহাত খাড়া)।
অজ্ঞাত কুলশীলযার বংশপরিচয় বা স্বভাবসম্পর্কে কিছু জানা নেই; সম্পূর্ণ অপচিত (অজ্ঞতকুলশীলকে ঘরে স্থান দিতে নেই)।
অতঃকিমএরপর কী; কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা; সমার্থক বাগধারা- ততঃকিম।
অতশতখুঁটিনাটি; নানাবিধ বিষয় (অতশত আমি জানি না)।
অতিকথায় বার্তা নষ্টবাকচাতুর্যে মূলবক্তব্য হারিয়ে যায়।
অতিগর্জনে ফোঁটাবৃষ্টিহাঁকডাকওয়ালারা কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা।
অতিঘরন্তিগৃহকর্মনিপুণা কুমারী মেয়ে (অতিঘরন্তি না পায় ঘর অতিসুন্দরী না পায় বর)।
অতি চালাকের গলায় দড়িবেশি চালাকির পরিণাম অশুভ হয়।
অতিদর্পে হত লঙ্কাঅহঙ্কারে পতন অনিবার্য।
অতিভক্তি চোরের লক্ষণভক্তির আতিশয্যে গোপন উদ্দেশ্য প্রচ্ছন্ন থাকে।
অতিলোভে তাঁতী নষ্টলোভের মাত্রা অতিক্রান্ত হলে সমূহ ক্ষতি।
অথৈ জলচরমসংকট; ভীষণ বিপদ (হঠাৎ চাকরি হারিয়ে অথৈ জলে পড়েছি।;
অথৈ জলের মাছসুচতুর ব্যক্তি; চাপা স্বভাবের লোক; সমার্থক বাগধারা- অগাধ জলের মাছ; গভীর জলের মাছ।
অদল-বদলতুল্যবিষয়ের পরিবর্তন (তার মতিগতিতে কিছু অদলবদল হবে না);
অদিনে অক্ষণেশুভ বা প্রশস্ত দিন বা সময় নয়; খুবই দুর্দিনে এবং কুক্ষণে।
অদৃষ্টের কিল/পরিহাসভাগ্যবিপর্যয়; ভাগ্যের মার (অদৃষ্টের কিল ভূতেও কিলায়);
অধঃপাতে যাওয়াউচ্ছন্নে যাওয়া; কুসংসর্গে নষ্ট হওয়া; দুশ্চরিত্র হওয়া।
অধিকগর্জনে অল্পবর্ষণমেঘ বেশি ডাকলে বৃষ্টি কম হয়; সমতুল্য- ‘অনেক গর্জনে ফোঁটা বৃষ্টি’; ‘বর্ষণ নেই গর্জন সার’; ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’;’বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া’ইত্যাদি।
অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্টঅবাঞ্ছিত বহুব্যক্তির সমাবেশে মতভেদ জনিত কারণে সমস্ত কাজকর্ম পণ্ড।
অধিমাসঅতিরিক্ত চান্দ্রমাস, যে মাসে দুটি অমাবস্যা পড়ে;সমার্থক বাগধারা-মলমাস।
অনন্তনিদ্রা/যাত্রাচিরনিদ্রা; মৃত্যু।
অনন্ত বালাহাতে পরার অলঙ্কারবিশেষ (আজকাল মোটামোটা অনন্তবালা আর কেউ পরে না।)
অনন্তরূপা/ অনন্তরূপিণীনানারূপধারিণী (অনন্তরূপিণী মূর্তি)
অনভ্যাসের ফোঁটাআচমকা সৌভাগ্যের অস্বস্তি(অনভ্যাসের ফোটা কপাল চড়চড় করে)
অনলে জল ঢালা/পড়াউত্তেজনা হ্রাস; রাগ স্তিমিত;
অনাথের দৈব সখা/ অনাথো দৈবরক্ষকস্বয়ং ঈশ্বর অনাথকে রক্ষা করেন।
অনাথের নাথঈশ্বর (‘অনাথের ও নাথ গৌরা রে’)
অনামুখোকুৎসিত ব্যক্তি; যার মুখ দেখলে অমঙ্গল হয়- গ্রামা মেয়েলি গালিবিশেষ
অনাসৃষ্টিঅদ্ভূত; কুৎসিত; সৃষ্টিছাড়া (ভুবনজুড়ে চলছে অনাহার অনাবৃষ্টি একী অনাসৃষ্টি- রবীন্দ্রনাথ।)
অনাহারীব্যঙ্গে- অবৈতনিক; কাজ করে কিন্তু বেতন পায় না (আমি এক অনাহারী কর্মচারী।)
অনিষ্ট হতে ইষ্টলাভ/অনিষ্টে ইষ্টলাভমন্দঘটনা থেকে ভাল ঘটনার উৎপত্তি (অনেকের অনিষ্টে ইষ্টলাভ হয়)
অনুরোধে ঢেঁকি গেলাঅনুরোধ এড়াতে না পেরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোনো কাজ করা((অনেকসময় অনুরোধে ঢেঁকি গিলতে হয়)।
অনুলোম বিবাহউচ্চবর্ণের পাত্রের সাথে নীচবর্ণের পাত্রীর বিয়ে।
অনেক কাঠখড় পুড়িয়েবহু চেষ্টা ও পরিশ্রম করে (অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একটা চাকরি জোগাড় করেছি।)
অনেক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্টবহুজনের কর্তৃত্ব থাকলে অনুষ্ঠানে কাজের থেকে অকাজ বেশি হয়; ফলে কাজকর্মে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
অন্তর টিপুনিগোপন ব্যথা; অন্যের অজ্ঞাতে কারো মনে গোপনে আঘাত।
অন্তরাত্মাজীবাত্মা (পুলিশ দেখে দুস্কৃতির অন্তরাত্মা শুকিয়ে গেছে।)
অন্তর্জলি যাত্রাঅন্তিমকাল শুরু; পতন বা মৃত্যু আসন্ন (সভ্যতার অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়ে গেছে)।
অন্তর্দাহঈর্ষাজনিত কারণে গাত্রদাহ।
অন্তিম দশামরণকাল; মুমূর্ষু অবস্থা।
অন্ধ ও খোঁড়ার পথ চলাঅন্ধের সাহায্যে খোঁড়ার পথ চলা; অন্ধপঙ্গুন্যায় দ্রষ্টব্য।
অন্ধকার দেখাবিপদের আশঙ্কায় বা ভয়ে ও ভাবনায় দিশেহারা হওয়া।
অন্ধকার দেখানোবিপদে ফেলে অভিভূত করা।
অন্ধকারে উকুন বাছাযে কাজ করা কোনমতে সম্ভব নয়
অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ানিছক অনুমানের ভিত্তিতে আন্দাজে কিছু করা বা বলা।
অন্ধকারে থাকাকিছু না জানা; কোন বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞ বা অনভিহিত থাকা।
অন্ধকারে হাতড়ানোস্পষ্ট জ্ঞান না থাকায় অনুমানে কিছু করা বা বলা।
অন্ধকে দর্পণ দেখানোমূর্খকে জ্ঞানদান।
অন্ধবিশ্বাসনির্বিচার যুক্তিহীন আস্থা; যুক্তি দিয়ে বিচার না ক’রে কোনকিছু মনে নেওয়া; যুক্তিহীন গভীর বিশ্বাস;
অন্ধভক্তিযুক্তিবর্জিত প্রশ্নহীন আনুগত্য।
অন্ধের দেশে কানা রাজামূর্খের দলের অজ্ঞান নেতা।
অন্ধের যষ্টি/নড়িঅসহায়ের সহায়; অক্ষমের অপরিহার্য অবলম্বন।
অন্নজলপরলোকগত আত্মার তৃপ্তিসাধনে হিন্দুদের আচরিত অনুষ্টান; শ্রাদ্ধে প্রেতের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভোজ্যদ্রব্য।
অন্নজল ওঠাচাকরি হারানো; জীবিকা অর্জনের উপায় শেষ।
অন্নজলের নাড়ী কোটাশিশুর ভাতজল খাওয়ার বয়স হওয়া।
অন্নজলের বরাত ওঠাআয়ু শেষ হওয়া।
অন্নদাসব্যঙ্গে-পেটের জন্য পরের আজ্ঞাবহ; ভাতুড়িয়া (ঘরজামাই শ্বশুরের অন্নদাস)।
অন্নধ্বংস করাব্যঙ্গে- অলসভাবে জীবন কাটান; বসে বসে খাওয়া (নিকম্মার ব্যাটা বসে বসে শুধু অন্ন ধংস করে চলেছে)।
অন্নপ্রাশনের ভাত ওঠাবমির উদ্রেক হওয়া।
অন্নবলঅর্থবল (অন্নবল নেই তার অগ্নিবল আছে)।
অন্নবস্ত্রখাওয়াপড়ার ব্যবস্থা (চাকরি না হলে অন্নবস্ত্রের সংস্থান হবে না।) সমার্থক বাগধারা- খোরপোশ, ভাত-কাপড় ইত্যাদি।
অন্নময় কোষস্থূল হৃষ্টিপুষ্ট শরীর।
অন্ন মারাজীবিকার পথ বন্ধ কর।
অন্নসঙ্কটখাদ্যাভাব (দেশে অন্নসঙ্কট নেই।)
অন্নসংস্থানজীবিকার অর্জনের উপায়/ব্যবস্থা।
অন্যপুষ্টঅন্যদ্বারা প্রতিপালিত; কোকিল।
অন্যপূর্বাআগে কারও বাগদত্তা ছিল বা পূর্বে বিবাহিতা এমন নারী।
অপত্যস্নেহসন্তানের প্রতি পিতামাতার স্নেহ, ভালোবাসা।
অপদার্থঅকর্মণ্য; অযোগ্য; মনুষ্যত্বহীন; সমার্থক বাগধারা- অপোগণ্ড।
অপরূপব্যঙ্গে- কদাকার; কিম্ভূত; কুরূপ; বেয়াড়া।
অপাংক্তেয়গুরুত্বহীন; পাতে পড়ে না; মর্যাদাহীন।
অবতারব্যঙ্গে- অদ্ভুত/কিম্ভূত মূর্তি (তুমি এক অবতারবিশেষ)।
অবলা-অখলাখলতাশূন্য সরলপ্রকৃতির নারী
অবশ্য অবশ্যনিশ্চয়ই; বলা বাহুল্য।
অবস্থা বুঝে ব্যবস্থাপরিস্থিতি বিবেচনায় কার্যক্রম।
অবস্থার দাসপরিস্থিতির শিকার; যখন যেমন দশা তখন তেমন চলে।
অবাকজলপানতেল লবণ লঙ্কা সহযোগে নানা ভাজাভুজি মিশিয়ে প্রস্তুত মুখরোচক খাদ্য, মুখ্যতঃ ঝালমুড়ি।
অব্রাহ্মণের দীর্ঘফোঁটামেকি ব্রাহ্মণের ভড়ং বেশি।
অভদ্রাকালআকাল; দুঃসময়; দুঃর্ভিক্ষের সময় (অভদ্রা বর্ষাকাল, হরিণী চাটে বাঘের গাল)।
অভাবে স্বভাব নষ্টঅনটনের চাপে সৎপথে থাকা যায় না।
অভেদাত্মা হরিহরঅভিন্নহৃদয় বন্ধু; পুরাণে হরি এবং হর অভেদাত্মা বলে বর্ণিত।
অমনি অমনিবিনাকারণ; (অমনি অমনি মা তোমায় বকল?); সমার্থক দ্বিত্বশব্দ- শুধু শুধু।
অমনি একরকমমোটামুটি ভালো; ভালোও নয় আবার মন্দও নয় এমন অবস্থা।
অমরকণ্টক/কন্ঠ হয়ে অমরনাথ যাত্রাঘুর/বাঁকাপথে কাজ করা।
অমাবস্যার অন্ধকারনিবিড় হতাশাজনক অবস্থা।
অমাবস্যার চাঁদঅদর্শনীয় বা দুর্লভ বস্তু; যার দেখা পাওয়া যায় না; সাধারণতঃ বন্ধু বা প্রিয়জনের দেখা না পেলে তাকে অমাবস্যার চাঁদের সাথে তুলনা করা হয়। সমার্থক বাক্যাংশ- ডুমুরের ফুল।
অমৃত পথযাত্রাপরলোকযাত্রা
অমৃতে অরুচিঅতিপ্রিয় খাদ্যের প্রতি অনীহা; অতিপ্রিয় বস্তুর প্রতি বিরাগ।
অমৃতের পুত্র/সন্তানঈশ্বরের পুত্র মানুষ (‘শৃন্বন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রা’)
অমেরুদণ্ডীবলিষ্ঠ নয়; দুর্বলচরিত্রের লোক।
অম্লমধুর সম্পর্ককড়া ও নরম, ভাল ও মন্দ মিশ্রিত সম্পর্ক।
অম্লান বদনেদ্বিধাহীনচিত্তে; নিঃসঙ্কোচে- মন্দার্থে শব্দটি ব্যবহৃত হয় (অম্লানবদনে সে মিথ্যেকথা বলে)।
অয়েল করাবিদ্রুপে- তোয়াজ করা; স্তাবকতা করা।
অরণ্যেরোদননিস্ফলপ্রার্থনা; বৃথাক্রন্দন; বৃথা অনুনয়-বিনয় (পাথরে মাথা ঠোকা অরণ্যে রোদনের সামিল)
অরুচি ধরাবিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হওয়া (তোমার প্রতি সকলের অরুচি ধরেছে।)
অর্জুনের গাণ্ডীবঅমোঘ অস্ত্র; সমার্থক শব্দবন্ধ- পরশুরামের কুঠার; নারায়ণের সুদর্শনচক্র; শিবের ত্রিশুল ইত্যাদি।
অর্থদণ্ডঅনর্থক অর্থ ব্যয়; অর্থ ব্যয় সত্বেও উদ্দেশ্য সাধনে ব্যর্থ (একগাদা অর্থদণ্ড হল।)
অর্থপিশাচঅত্যন্ত কৃপণ
অর্ধচন্দ্র দেওয়াঅপমান করে বিদায় করা; গলা/ঘাড়ধাক্কা (‘আদর শুরু লাঠি জুতায় শেষে অর্ধচন্দ্র’)।
অলকাতিলকাচন্দনাদি দিয়ে কিশোরী মেয়ের মুখসজ্জা।
অলক্ষ্মীগৃহকর্মে অনিপুণা এবং স্বভাবে অগোছালো কলহপ্রিয়া স্ত্রীলোক।
অলক্ষ্মীর দশা/দৃষ্টিঅভাব; অনটন; দারিদ্র; দুর্দশা; শ্রীহীনতা; হতভাগ্য ইত্যাদির দশা।
অল দা সেমঅপরিবর্তিত; একই ব্যাপার; কিছু যায় আসে না।
অলপ্পেয়ে/অল্পেয়েআয়ু অল্প হ’বে- এই কামনায় গালিবিশেষ (‘ওরে বুড়া আঁটকুড়া নারদ অল্পেয়ে’)।
অলিগলিখুব সরু ও দুর্গম রাস্তা; গলি ও তস্যগলি; গলি এবং তার থেকেও সঙ্কীর্ণ পথ (কাশীর রাস্তা অলিগলিতে ভর্তি); সমার্থক শব্দ- গলিঘুঁজি।
অলিপান/পানাকৌতুকে- মদ; সুরা।
অলোকসামান্যামনুষ্যলোকে দেখা যায় না এমন অসাধারণ সুন্দরী নারী।
অল্পজলের/পানির মাছসঙ্কীর্ণমনা ব্যক্তি।
অল্পবিদ্যা ভয়ংকরীঅল্পবিদ্যা থেকে জাত অহঙ্কার।
অল্পের উপর দিয়ে যাওয়াসামান্য ক্ষতিস্বীকার করে বা কষ্টভোগে রেহাই পাওয়া বা কার্যসিদ্ধি হওয়া (ঝড়টা অল্পের উপর দিয়ে গেছে।)
অশনিসঙ্কেতঘোর বিপদের আশু সম্ভাবনা।
অশিক্ষিত পটুত্বযথাবিধি শিক্ষাপ্রাপ্ত না হয়েও কোন বিষয়ে নৈপুণ্য।
অশুভস্য কালহরনমঅশুভ কাজে কালক্ষেপণ কয়ড়া উচিৎ।
অশ্বডিম্বঅসম্ভব, কাল্পনিক বস্তু;
অশ্বতরকথ্যশব্দ ‘খচ্চরের’ সাধুরূপ দান- গালিবিশেষ।
অশ্বত্থামা হত ইতি গজসত্যের আবরণে মিথ্যাভাষণ।
অশ্বমেধযজ্ঞবিরাটমাপের আয়োজন।
অষ্টকপালেঅভাগা।
অষ্টবজ্রসম্মেলনজ্ঞানীগুণী প্রতিভাবান ব্যক্তিদের একত্র সমাবেশ।
অষ্টরম্ভাকিছুই না; ফাঁকি; শূন্য; সম্পূর্ণ অভাব (সবার ভাগে কিছু-না-কিছু জুটলো, আমার ভাগে অষ্টরম্ভা।);
অষ্টে পৃষ্ঠেসারা অঙ্গে; সকলপাশে (সংসারজালে অষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়েছি।); সমার্থক বাগধারা- আষ্টেপৃষ্ঠে
অসিত অশ্বডিম্বের অন্বেষণঅসম্ভবের পিছনে ছোটা; অসাধ্যসাধনের চেষ্টা।
অসূর্যস্পশ্যাসূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখে না এমন নারী; পর্দানশিনা নারী
অস্ত যাওয়াপতন হওয়া, মৃত্যু হওয়া।
অস্তিনাস্তিথাকা-না-থাকা; আছে আবার নাই (অস্তিনাস্তি না জানন্তি দেহিদেহি পুনঃপুনঃ)
অস্ত্রউদ্দেশ্যসাধনের জন্য যন্ত্রের মতো ব্যবহৃত ব্যক্তি; উদ্দেশ্যসাধনে ব্যবহারের উপযুক্ত হাতিয়ার।
অস্থিচর্মসার/ অস্থিসারঅতিকৃশ; শীর্ণদেহ।
অহংবুদ্ধি / অহমহমিকা‘আমিই সব’- এমন দম্ভ।
অহি-নকুল সম্পর্ক চির/ভীষণ শত্রুতা; আদায় কাঁচকলায়; কুকুর বিড়ালে; সাপে-নেউলে।
অহিতে বিপরীতঅনিষ্ট থেকে ইষ্ট লাভ; অভিশাপ আশীর্বাদে পরিণত;
অ্যাকটিং করাভান করা (কিছুই লাগেনি অ্যাকটিং করছে।)
বাগধারাঅর্থ
আইডিয়ামনোগত বিষয় (মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে)।
আইতে ছাগল, যাইতে পাগলদেরী সয় না, ধৈর্যহীন।
আইবুড়ো পথ বদলানো/ভাঁড়ানোপ্রচলিত বা ব্যবহৃত পথ পরিবর্তন করা; একপথ দিয়ে যাওয়া এবং অন্যপথ দিয়ে আসা।
আইল্যাণ্ডযেকোন বিচ্ছিন্ন উঁচু জায়গা।
আউটসংশোধনের বাইরে; বেসামাল (আকণ্ঠপানে ব্যাটা একেবারে আউট)।
আওয়াজ তোলাউচ্চস্বরে দাবী তোলা; তীব্র প্রতিবাদ করা (ন্যায়বিচারের জন্য চারিদিকে আওয়াজ উঠছে)।
আওয়াজ দেওয়াবিদ্রুপাত্মক ধ্বনি দেওয়া (পিছন থেকে আওয়াজ দিচ্ছে); তুলনীয়- বিড়াল ডাকা।
আঁচলধরাব্যক্তিত্বহীন পুরুষ, স্ত্রৈণ, স্ত্রীলোকের নির্দেশে চলা; সমার্থক বাগধারা- আঁচলের নিচে থাকা; পাঠান্তর- অঞ্চলধরা।
আঁচা আঁচিপরস্পরের দোষ অনুসন্ধান।
আঁটআঁটঅল্পকষা (জামাটা আঁটআঁট মনে হচ্ছে)।
আঁটকুড়ের/কুড়ির ব্যাটা/বেটিঅবৈধ সন্তান- নীচুস্তরের গ্রাম্য গালিবিশেষ।
আঁটসাঁটকড়াকড়ি; ঢিলে নয় এমন টানটান (আঁটসাঁট পোষাক);
আঁটাআটি/ আঁটিসাটিহাতটা্ন, নিজের পাওনাগণ্ডা বুঝে নেওয়ার প্রতি যত্ন; স্বার্থপরতা (নিজের বেলায় আঁটিসাঁটি পরের বেলায় দাঁতকপাটি)।
আঁটি চোষাঅসার বস্তুগ্রহণ; সার জিনিস থেকে বঞ্চিত হওয়া (সময়মত এলে না এখন বসে আঁটি চোষো)।
আঁটু বাঁটুনড়বড়ে ভাব; বার্ধক্যের কারণে জড়সড় ভাব (বৃদ্ধ চলনেবলনে আঁটুবাঁটু)।
আঁটুনিকসুনি সারকাজের কিছুই নয় কেবল আড়ম্বরমাত্র; শুধু কথায় আসর সরগরম করে, কাজের বেলায় কিছু না।
আঁটোসাটোটানটান, দৃঢ়বদ্ধ, স্মাভাবিক মাপের চেয়ে ছোট (আঁটোসাটো ব্যবস্থা, আঁটোসাটো জামাকাপড়)
আঁত খালিপেটে অন্ন নেই।
আঁত পাওয়া ভারখুব চাপাস্বভাবের লোক, যার মনের অভিপ্রায় জানা মুশকিল।
আঁত বুঝে চলামনোভাব বুঝে চলা।
আঁতমরাঅল্পভোজী বা পরিপাকশক্তিহীন।
আঁতলামি/আঁতলামোবুদ্ধিজীবীর অনুকরণ, পাণ্ডিত্য প্রদর্শনের চেষ্টা, নকলপণ্ডিতি।
আঁতিপাঁতি খোঁজাপ্রতিস্থানে/চারিদিকে/তন্নতন্ন করে/পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে/সর্বত্র খোঁজা (আঁতিপাঁতি করে খোঁজ।); সমার্থক সহচরশব্দ- পাতিপাতি খোঁজা; পাতিপাতি করে খোঁজা
আঁতুপুঁতু করাআদরের সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া (ছেলেকে নিয়ে বেশি আঁতুপুঁতু করা ভাল নয)।
আঁতুড়ে খোকা/ছেলেব্যঙ্গার্থ- নিতান্ত শিশু।
আঁতে ঘা দেওয়াকারো দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অন্তরে/ইজ্জতে ঘা দেওয়া (আঁতে ঘা দিয়ে কথা বলো না।)
আঁতের টানঅন্তরের টান (আঁতের টানে প্রতিবছর দেশে ফিরি)
আঁতেলবিদ্রুপে- বুদ্ধিজীবীর ধরনধারণ অনুকরণকারী ব্যক্তি (ব্যাটা আঁতলামি করছে)
আঁদাড়-পাঁদাড়আবর্জনা ভর্তি স্থান, আস্তাকুঁড় (আঁদাড়-পাঁদাড় পেরিয়ে বাড়ি ঢুকলাম।)
আঁধার ঘরের আলো/প্রদীপ/বাতি/মাণিকদুঃখীর ঘরের একমাত্র সুখের বস্তু (পুত্রটি ছিল বিধবার আঁধার ঘরের মাণিক)।
আঁধারে ঢিল ছোঁড়াআন্দাজে কিছু করা; কোন বিষয়ে সঠিক না জেনে আন্দাজে কিছু বলা।
আঁধারের আলো/বাতিতাপিত হৃদয়ে আনন্দ দানকারী বস্তু
আঁস্তাকুড়ের পাত/পাতাহেয় ব্যক্তি; নীচমনা ব্যক্তি
আককাটাকাণ্ডজ্ঞানহীন মূর্খ; যে কেবল হিজিবিজি রেখা টানে, লিখতে জানে না (আক কাটাটা কি যে লিখেছে পাঠোদ্ধার করতে পারছি না।)
আককুটে/আকখুটিয়া/আকখুটেআবদারে; জেদী; অতিরিক্ত বায়না করে এমন (আককুটে শিশু)।
আককুটে/আকখুটিয়া/আকখুটেঅমিতব্যয়ী; অপব্যয়ী; উড়ণচণ্ডে; জিনিষের প্রতি যে যত্ন নেয় না; সঞ্চয় করতে পারে না; লক্ষ্মীছাড়া।
আকখুটের দশাঅসঞ্চয়ীর লক্ষণ; দারিদ্রের লক্ষণ; দিন আনে দিন খায়; যখন যা আয় করে তখনই তা ব্যয় করে; যত্র আয় তত্র ব্যয়।
আকচাআকচি/ আখচাআখচিপরস্পর ঈর্ষা-দ্বন্দ্ব; রাগারাগি; রেষারেষি (সংসারে আকচাআকচি লেগেই আছে।)
আকচার/ আকছারপ্রায়ই; সর্বদা (ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি আকছার দেখা যায়।)
আকটবিকটবিকটাকার বিশ্রী আকৃতি (ভয় পেয়ে আকটবিকট করছে।)।
আকণ্ঠগলাপর্যন্ত; সম্পূর্ণভাবে; সর্বতোভাবে (ঋণে আকণ্ঠ নিমজ্জিত)।
আকবরের আমলঅনেকদিন আগের কথা; সমার্থক বাগধারা- বাবরের আমল; মান্ধাতার আমল, হোসেনশাহর আমল ইত্যাদি।
আকর্ণবিস্তৃত হাসিসারামুখ ছড়িয়ে হাসি।
আকলমন্দিআক্কেল; চতুরতা; বিচক্ষণতা; বিচারবুদ্ধি; বুদ্ধিমত্তা (বয়স তো হল আকলমন্দি হবে কবে?)
আকাট মূর্খজড়বুদ্ধিসম্পন্ন; নিরেট বোকা; মহামূর্খ
আকার-ইঙ্গিতেচোখ ও মুখের ভঙ্গীতে (আকার-ইঙ্গিতে কি যেন বলতে চাইছে)।
আকাল১অভাব (আকাল পড়েছে আলুর বস্তা, মনের মত হয়নি সস্তা), দুঃসময়; দুর্ভিক্ষ (আকালে কিনা খায় পাগলে কি না কয়)।
আকাশকুসুমঅবাস্তব/অলীক/কাল্পনিক বিষয়বস্তু, যার অস্তিত্ব নেই; অলীক কল্পনা;
আকাশ-চাওয়াআকাশের দিকে চেয়ে অপেক্ষা করা হয়েছে
আকাশচুম্বীঅত্যন্ত উচ্চ (আকাশচুম্বী অট্টালিকা); সমার্থক বাগধারা-গগনস্পর্শী।
আকাশ ছোঁয়াঅতি উচ্চে ওঠা, অনেক বড় হওয়া; খুব উন্নতি করা (আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন না দেখলে বড় হওয়া যায় না), অত্যন্ত বেশি হওয়া (জিনিষপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।)।
আকাশ থেকে কথা বলাঅহঙ্কারী হওয়া; বড়বড়কথা বলা (দু’পয়সার মুখ দেখে সে আকাশ থেকে কথা বলা শুরু করেছে।)
আকাশ থেকে পড়া১অপ্রত্যাশিত ঘটনায় বা অজানা বিষয় হঠাৎ জানতে পেরে অত্যন্ত বিস্মিত হওয়া, না-জানার ভান করে বিস্ময় প্রকাশ করা (আমার কথা শুনে সে যেন আকাশ থেকে পড়ল)।।
আকাশদীপকার্তিকমাসে সন্ধ্যাকালে উঁচুবাঁশের মাথায় জ্বেলে রাখা বাতি;
আকাশদুহিতা/আকাশনন্দিনীপ্রতিধ্বনি; বজ্রনির্ঘোষ (‘বুঝিলাম এতক্ষণে কে তুমি ডাকিছ আকাশনন্দিনী’)।
আকাশ ধরাবৃষ্টি থামা (মনে হচ্ছে এবার আকাশ ধরবে)।
আকাশপাতালসর্বত্র; স্বর্গ থেকে নরক (‘আকাশপাতাল খুঁজিস যারে এই দেহে সে রয়’)।
আকাশপাতাল এক করাঅসম্ভবকে সম্ভব করা (ভারতের স্বাধীনতার জন্য মহাত্মা গান্ধি আকাশপাতাল এক করেছিলেন)।
আকাশপাতাল খোঁজা/তোলপাড় করাসর্বত্র তন্নতন্ন করে খোঁজা (এ জিনিস আকাশপাতাল খুঁজেও তুমি পাবে না)।
আকাশপাতাল চিন্তা/ভাবনাউদ্দেশ্যহীন নানাপ্রকার দুশ্চিন্তা/দুর্ভাবনা; যে চিন্তা বা ভাবনার অবধি নেই (আকাশপাতাল চিন্তায় মন ভারাক্রান্ত হয়ে আছে)।
আকাশপাতাল তফাৎ/পার্থক্যপ্রচুর/বিপুল/বিশাল/বিস্তর ব্যবধান (দুই ভাইয়ের আচার-আচরণে আকাশপাতাল তফাৎ)।
আকাশপাতাল ভেবে না পাওয়াভাবতে গিয়ে দিশেহারা/বিভ্রান্ত/বিমুঢ়/বিহ্বল হওয়া।
আকাশবন্যাভারি বৃষ্টিপাতে প্লাবন।
আকাশবাণীঅশরীরী বাক্য; দৈববাণী (‘হইল আকাশবাণী অন্নদা আইলা’)।
আকাশবিহারীকল্পনাপ্রবণ; কল্পনার জগতে বাস করে এমন;
আকাশ ভাঙ্গাপ্রবল বৃষ্টিপাত (আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামল)।
আকাশ ভেঙ্গে পড়া (মাথায়)আকস্মিক বিপদে ভাবনাচিন্তায় দিশাহারা হওয়া (চাকরিটা হারিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে)।
আকাশ শয়নউন্মুক্তস্থানে শোয়া।
আকাশ হাতে পাওয়াদুরাশা পূর্ণ হওয়া, বিনাপ্রচেষ্টায় দুর্লভবস্তু হাতে পাওয়া বা পাওয়ার আশ্বাস পাওয়া।
আকাশে ওড়াআনন্দে আত্মহারা হওয়া; কল্পনার জগতে বাস করা;
আকাশে তোলাপ্রাপ্যের অতিরিক্ত প্রশংসা করা (আকাশে তুলে ছেলের মাথা খেও না।)
আকাশে থুথু ফেলানিজের ক্ষতি করা।
আকাশে ফাঁদ পেতে চাঁদ ধরাঅবাস্তব/অলীক/অসার কল্পনা/চিন্তা;
আকাশের চাঁদঅসম্ভব বা দুর্লভবস্তু; বহু কাঙ্ক্ষিত বস্তু
আকাশের চাঁদ/তারা পাড়াঅসম্ভবকে সম্ভব করা।
আকাশ/আশমানের চাঁদ হাতে পাওয়াআশাতীত বা দুর্লভ বস্তুপ্রাপ্তি (চাকরি পেয়েছে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে।)
আকাশের তারা গোনাঅকাজে অলসভাবে সময় কাটানো;
আকুলি-বিকুলি করাঅতিশয় ব্যাকুল হওয়া; উৎকণ্ঠিত হওয়া; ব্যস্ত সমস্ত হয়ে পড়া (খবরটা শোনার জন্য মন আকুলি-বিকুলি করছে)।
আক্কেলগুড়ুমআকস্মিক ভয়ে বুদ্ধিলোপ; হতবুদ্ধি; হতভম্ব অবস্থা (পাত্রপক্ষের দাবীর বহর শুনে পাত্রীপক্ষের আক্কেলগুড়ুম।)
আক্কেলদাঁত না গজানোবুদ্ধিবিবেচনা/কান্ডজ্ঞান না হওয়া; অপরিণত বুদ্ধির পরিচয় দেওয়া (বয়স তো হল এখনো আক্কেলদাঁত গজালো না?)
আক্কেল সেলামীগুনাগার; নির্বুদ্ধিতার দণ্ড (বোকামী করে একগাদা অর্থ আক্কেলসেলামী দিলাম)।
আক্কেল হওয়াবিপদে পরে শিক্ষা নেওয়া; শাস্তি পাওয়া (বৃষ্টির দিনে বেড়িয়ে অনেক আক্কেল হয়েছে)।
আখের গুছানোভবিষ্যৎ গুছানো; স্বার্থ হাসিল করা।
আখের বুঝে চলাপরিণতির কথা চিন্তা করে চলা; ভবিষ্যতের কথা ভেবে কাজ করা।
আখেরি জমানাঅন্তিমকাল, শেষযুগ, কলিযুগ।
আখেরে লাভঅপেক্ষা করলে লাভ আছে; শেষপর্যন্ত লাভ হয়।
আগড় বাগড়/আগড়ম বাগড়ম কথাঅপ্রয়োজনীয়; অপ্রাসঙ্গিক; অর্থহীন; অসংলগ্ন/আজেবাজে কথাবার্তা; প্রলাপ (আগড়মবাগড়ম বকো না);
আগড়বাগড় খেয়ে পেট ভরানোঅসার খাদ্য খেয়ে উদরপূর্তি করা।
আগাগোড়াশুরু থেকে শেষপর্যন্ত (আগাগোড়া আমি এককথা বলে আসছি)।
আগা-পাছতলা/ আগাপাস্তালাআপাদমস্তক; উপর থেকে নীচ পর্যন্ত; সর্বাঙ্গ (আগাপাস্তালা লেপমুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে।)
আগামাথাআদি বা অন্ত; শুরু বা শেষ (আগামাথা কিছুই বুঝতে পারছি না)।
আগুন দেওয়া/ধরানোউত্তেজিত করা; ঝগড়া সৃষ্টি করা।
আগুন নিয়ে খেলা করাঅনিষ্টকর জিনিসে হাত দেওয়া; বিপজ্জনক বিষয় নিয়ে ছিনিমিনি খেলা; বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা ইত্যাদি।
আগুন পোয়ানো/পোহানোআগুনের কাছে বসে হাত পা গরম করা (আগুন পোহাতে গেলে ধোঁয়া সইতে হয়)।
আগুন লাগাঅতি দুর্মূল্য হওয়া (বাজারে আগুন লেগেছে)।
আগুন-লাগা সংসারনষ্ট হচ্ছে এমন সংসার।
আগুন লাগানোউত্তেজিত করা; ঝগড়া সৃষ্টি করা; রাগিয়ে দেওয়া।
আগুন হওয়াঅতি ক্রুদ্ধ হওয়া; প্রচণ্ড রেগে যাওয়া (তোমার কথা শুনে সে একেবারে রেগে আগুন।)
আগুনে ঘি ঢালা/ধুনো দেওয়াউত্তেজনা/রাগ বাড়ানো।
আগুনে জল ঢালা/পড়ারাগ কমানো/প্রশমিত হওয়া।
আগুনের কাছে ঘিএমন দুইবস্তুর কাছাকাছি আসা, যাতে দ্বিতীয়ের ক্ষতি হয়
আগুপাছু/আগেপাছে করাইতঃস্তত করা (আগপাছু করলে কোন কাজ ভাল হয় না।)
আগেআগেসামনে (পতাকা হাতে করে মাতঙ্গিনী হাজরা আগে আগে চলছিলেন।)
আগেভাগেআগের থেকে; পূর্বেই; সবার আগে; সর্বাগ্রে (আগেভাগে খবর দিও।)
আঙুর ফল টকঅলভ্য জিনিস মন্দ।
আঙুল কামড়ানোআফশোষ করা।
আঙুল ঘুরিয়ে পাঁচিল দেওয়াক্ষুদ্রচেষ্টায় বিরাট কর্ম করার প্রচেষ্টা।
আঙুল ফুলে কলাগাছহঠাৎ বড়লোক; হঠাৎ প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক (আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে রামবাবু ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন।)
আঙুল মটকানোঅভিশাপ দেওয়া (আঙুল মটকে আমার নামে কী বললে?)
আচমকা সুন্দরীআপাতঃ সুন্দরী না হলেও হঠাৎ দেখলে সুন্দরী মনে হয়; ক্ষণিক রূপের মোহসৃষ্টিকারিণী।
আছোলা বাঁশ খাওয়াকষ্টকর যন্ত্রণা ভোগ করা- অশালীন গালিবিশেষ (ফেসবুক কর আর আছোলা বাঁশ খাও।)
আছোলা বাঁশ দেওয়াকারো সর্বনাশ করা।
আছোলা বাঁশ নেওয়াযেচে নিজের বিপদ ডেকে আনা; ইচ্ছা করে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়া।
আজকালঅধুনা; বর্তমানকাল (আজকাল কাউকে বিশ্বাস করা যায় না)।
আজকাল করাঅযথা দেরি করা; গড়িমসি করা; ইচ্ছা করে দেরী করা।
আজকাল বাদেআজ ও আগামীকাল- এই দু’দিন বাদে।
আজকালের মধ্যেঅনতিবিলম্বে; দু’একদিনের মধ্যে (আজকালের মধ্যে বৃষ্টি নামবে।)
আজকের মতআজকের উপযোগী (আজকের মত ক্ষান্ত দাও।)
আজ খেতে কাল নেইকোনরকমে দিন গুজরান করা।
আজ গেলে দুদিন হবেঅসহনীয় ভোগান্তির দিন যেন কাটতেই চায় না।
আজ-নয়-কালগড়মসি; দীর্ঘসূত্রিতা; অযথা সময় নষ্ট।
আজ-বাদে-কালকয়েকদিন পর; বেশি দেরী নেই; শীঘ্রই (আজ-বাদে-কাল পরীক্ষা, এখন পড়তে বস নি?)
আজেবাজেঅকেজো; অবজ্ঞার যোগ্য; তুচ্ছ (যত আজেবাজে কথা)।
আটকড়াই/ আটকৌড়েসন্তান জন্মের অষ্টমদিনে আটরকম কলাইভাজা বিতরণের সংস্কার।
আটকপালী/কপালেঅভাগী/অভাগা; হতভাগী/ভাগা; সমতুল- উঁচ-কপালিকপালে; উনপাঁজুরে, পোড়া-কপালে, হাভাতে ইত্যাদি।
আটকাট/কাঠ/ঘাটসবদিক; সব বিষয় (আটকাঠে দড়, তো ঘোড়ার উপর চড়)।
আট কুঠুরি নয় দরজাশরীরের আটটি গ্রন্থি এবং নয়টি প্রবেশ ও বহির্দ্বার (মাথার খুলি, ডান-বাম দুই ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলী, দুই কিডনি আর কোলন এবং দুই চোখ, দুই নাকের ফুটো, মুখ, দুই কানের ফুটো, আর বাকি দুইটা জননাঙ্গ ও পায়ু)।
আটকুড়ের ব্যাটা১পুত্রহীনের সন্তান; অসম্ভব ব্যাপার, যা হয় না।
আট্কে বাঁধাআটকিয়া বাঁধা- দ্রষ্টব্য
আটখান/খানা হওয়াআনন্দে অধীর হওয়া ফেটে পড়া (আহ্লাদে আটখানা, মূল্য পাঁচ-আনা)।
আটঘাট বাঁধাসম্ভাব্য সবরকম অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকা; সবদিক সামলে চলা বা সুরক্ষিত করা; সাবধান হওয়া (আটঘাট বেঁধে কাজে নামবে)।
আটপৌরে কাপড়/শাড়ীসবসময়ে ঘরে পরার উপযোগী জামাকাপড়।
আটপৌরে ভাষাকথ্যভাষা; চলতি সাধারণ বা সর্বদা ব্যবহারের ভাষা।
আটা পেষাই করাদুরমুশ করা; খুব পিটাই করা; বেদম প্রহার করা।
আটাশে ছেলেআটমাসে ভূমিষ্ঠ ছেলে।
আটেকাটে/পিটে/পিঠেকষ্টসহিষ্ণু, অষ্টেপৃষ্ঠে, অত্যন্ত পরিশ্রমী, চৌকশ, সকলদিকে ভারবহনে সক্ষম, সকল বিষয়ে নিপুণ (আটে পিঠে দড় তবে ঘোড়ার পিঠে চড়’);
আটুপাটুআর্তভাব; কাতরতা; ব্যাকুলতা (সবসময় আটুপাটু করোনা তো।)
আঠাফাঁদ (পিরিতি কাঁঠালের আঠা)।
আটারো/আঠারো আনাঅতি নিশ্চয়তা; যথেষ্ট সম্ভাবনা (আজকে বৃষ্টি হওয়ার আঠারো আনা সম্ভাবনা)।
আটারো/আঠারো-ঘানানাপ্রকার ঘা বা ব্যাধিতে আক্রান্ত (বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা)।
আটারো/আঠারো মাসে বছরঅকর্মণ্যতা; আলস্য; কুঁড়েমি; দীর্ঘসূত্রিতা; অহেতুক কালক্ষেপণের ফলে কাজে বিলম্ব
আড্ডা গাড়াঅস্থায়ী বাসা বাঁধা,ডেরা বাঁধা (এক সাধু এসে গ্রামের বটগাছের তলায় আড্ডা গেড়েছে।)
আড়ং ধোলাইউত্তম-মধ্যম দেওয়া; সপাটে আছাড় মারা (বেশি বাড়াবাড়ি করলে আড়ং ধোলাই হবে)।
আড়কাঠিখবরসংগ্রাহক; কুলিমজুর সরবরাহকারী।
আড়কালাএক কানে শুনতে পায় না এমন।
আড় নেইমুখের লাগাম নেই; চোখের পর্দা নেই।
আড়পাগলাআধ-পাগলা; ক্ষেপাটে।
আড়বগ্‌গাএকগুঁয়ে; একরোখা; গোঁয়ার।
আড়বুঝবিপরীতবুদ্ধি; বাঁকাবুদ্ধি; উল্টা বোঝে এমন।
আড় ভাঙাশরীরের জড়তা কাটানো।
আড়মোড়া ভাঙাঘুম থেকে উঠে শরীরের আড়ষ্টভাব কাটান।
আড় হওয়াকাত হয়ে কষ্টেসৃষ্টে শোয়া (আড় হয়ে পড়ে আছি)।
আড়াবক্রস্বভাবের লোক (লোকটা বেজায় আড়া)।
আড়াআড়িপরস্পর দ্বেষাদ্বেষি/রেশারেশি (দুজনের মধ্যে আড়াআড়ি চলছে)।
আড়াই অক্ষরেঅল্পকথায়; সংক্ষেপে (আড়াই অক্ষরে গল্প শেষ)।
আড়াই দিনের বাদশাহীঅল্পদিনের জন্য বিলাসিতা।
আড়াই হাত (তালগাছের)কোনো কাজের শেষ এবং সবচেয়ে কঠিন অংশ।
আড়ালে আবডালেলোকচক্ষু এড়িয়ে; লুকিয়ে চুরিয়ে (আড়ালে আবডালে তার সম্পর্কে অনেক কথাই শোনা যায়)।
আড়িপাতাআড়াল থেকে লুকিয়ে অন্যের কথা শোনা।
আড়েহাতে লওয়াপ্রতিশোধ নেওয়া; ভীষণ শত্রুতা করা।
আড়েহাতে লাগাউঠেপড়ে লাগা; উৎসাহের সঙ্গে; প্রাণপণে চেষ্টা করা (যথাসময়ে কাজটা শেষ করতে সে আড়েহাতে লেগেছে)।
আণ্ডাবাচ্চাছোটছোট শিশুসন্তান,ছানাপোনা, ক্রোড়স্থ সন্তান।
আতান্তরঅসুবিধা; দুঃখকষ্ট; দুর্ভাবনা; বিপদ; সংকট (মহা আতান্তরে পড়া গেল দেখছি)।
আতালিপাতালি/আথালিপাথালিব্যাকুল ও ব্যস্ত হয়ে এদিক-ওদিক চাইতে চাইতে (আথালিপাথালি করে খুঁজে বেড়াচ্ছে)।
আতিপাতিতন্নতন্ন করে (আতিপাতি করে খুঁজেছি কোথাও নেই)।
আতুআতু/ আতুপুতু করাঅতিরিক্ত যত্ন করা; আদরযত্ন বা সাবধানতার বাড়াবাড়ি করা; সন্তানপালনে যত্ন ও সতর্কতার বাড়াবাড়ি (বেশি আতুপুতু করলে ছেলে মানুষ হবে না)
আত্মঘোষযে নিজের ঢাক নিজেই পেটায়।
আত্ম রেখে ধর্মনিজের স্বার্থ সবার আগে।
আত্মসর্বস্বস্বার্থপর; শুধু নিজেকে নিয়ে চিন্তা।
আত্মাপুরুষ/রামপুরুষনামী দেহস্থ আত্মা প্রাণ/মনপাখি (আত্মারাম খাঁচাছাড়া)।
আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ানিদারূণ ভয়ে মৃতপ্রায় হওয়া বা মারা যাওয়া; সমতুল্য বাগধারা- অক্কা পাওয়া, ঈশ্বরপ্রাপ্তি, গঙ্গাপ্রাপ্তি; পঞ্চত্বপ্রাপ্তি; পটল তোলা; শিঙে ফোঁকা ইত্যাদি।
আত্মারাম গুটিয়ে/শুকিয়ে যাওয়াঅত্যন্ত ভয় পাওয়া; ভয়ে আড়ষ্ট/পাংশু হওয়া।
আথালপাথাল/ আথালিপাথালিব্যাকুল ও ব্যস্ত হয়ে এদিক-ওদিক চাইতে চাইতে; চারদিকে; যেখানে-সেখানে সর্বত্র (আথালিপাথালি করে খুঁজে বেড়াচ্ছি)।
আদব-কায়দা/ আদব-তামিজভদ্রব্যবহার; শিষ্টাচার (শুধু হাওয়া খেয়ে বড় হয়েছে আদব-কায়দা কিছু শেখেনি।);সমার্থক বাগধারা- আচার-আচরণ।
আদব-কায়দাদুরস্তব্যবহারে বিনম্র; শিষ্টাচারী।
আদবের খেলাপ/বরখেলাপভদ্রতাবিরুদ্ধ; শিষ্টাচারবহির্ভূত; শিষ্টাচার লঙ্ঘন।
আদমের সময়অতি প্রাচীনকালে; বহুকাল আগে; আদিকাণ্ডে; আদ্দিকালে, ভূষণ্ডির সময়ে; মান্ধাতার আমলে ইত্যাদি।
আদরে বাঁদরপ্রশ্রয় পেয়ে নষ্ট (আদরে বাঁদর বনে)।
আদা ওষুধের আধাআদা অর্ধেক রোগ ভালো করে।
আদা জল খেয়ে পড়ে থাকাকার্যসিদ্ধির জন্য ধর্ণা দেওয়া।
আদাজল খেয়ে লাগাদৃঢ়সংকল্প নিয়ে কাজ করা; নাছোড়বান্দা হয়ে লাগা; প্রাণপণ চেষ্টা করা; মরিয়া হয়ে লাগা, উঠেপড়ে লাগা (পরীক্ষা আসন্ন, তাই আদাজল খেয়ে পড়তে বসেছ)।
আদাড়বনে শিয়াল রাজানিজের এলাকায় সবাই প্রভুত্ব করে;
আদাড়ের হাঁড়িঅনাদৃত ব্যক্তি; নীচব্যক্তি; নোংরামনের লোক- গালিবিশেষ (আদাড়ের হাঁড়িকে কেউ পোছে না)।
আদায় কাঁচকলায় সম্পর্কচিরবৈরিতা, তিক্তসম্পর্ক, পরস্পর শত্রুভাবাপন্ন, বিরুদ্ধ স্বভাবযুক্ত; সমার্থক বাগধারা- অহিনকুলসম্পর্ক; দা-কুমড়া সম্পর্ক; বাঘে-গরুতে সম্পর্ক; বুনো ওল বাঘা তেঁতুল সম্পর্ক; সাপ-নেঊলে সম্পর্ক।
আদার ব্যাপারীক্ষুদ্র ব্যবসায়ী; নগণ্য/সামান্য ব্যক্তি, সামান্য বিষয়ে ব্যস্ত ব্যক্তি (আদার ব্যাপারর জাহাজের খোঁজ নেয়); সমার্থক বাগধারা- উলুখাগড়া; এ-ও-সে; চুনোপুঁটি ইত্যাদি।
আদিরসকাম ও প্রেমরস; শৃঙ্গাররস।
আদুরে গোপালঅত্যন্ত আদরে লালিত-পালিত সন্তান; লাই দিয়ে যার ইহকাল পরকাল শেষ; অতিরিক্ত আহ্লাদী।
আদেখলা/আদেখলাপনাদেখার বা পাওয়ার জন্য এত ব্যগ্র যে মনে হয় পূর্বে কখনো কোনো ভালো জিনিস দেখেনি বা ভোগ করেনি।
আদ্যিকালের বদ্যিবুড়োঅত্যন্ত প্রাচীন বা অভিজ্ঞব্যক্তি।
আদরু-পেঁদরুসাহেবিয়ানার আতিশয্য প্রকাশকারী ব্যক্তি।
আধ/আধাখেঁচড়াএলোমেলো; বিশৃঙ্খল (আধা খেঁচড়া ব্যবস্থা)।
আধ/আধা-পাগলাক্ষ্যাপাটে; পাগলের মত হাবভাববিশিষ্ট; বাতিকগ্রস্ত।
আধ/আধাবয়সীমাঝবয়সী; প্রৌঢ়।
আধকামারিয়াঅর্বাচীন; হাতুড়ে (আধকামারিয়া উকিল কেসটা ডুবিয়ে দিল)।
আধবুড়োপ্রায় বুড়ো; প্রৌঢ়।
আধমণি কৈলাসপ্রচুর পরিমাণে খেতে পারে এমন লোক।
আধমরাউদ্দীপনাহীন নির্জীব; নিস্তেজ
আধিব্যাধিমানসিক ও শারীরিক রোগ (‘ব্যাধির চেয়ে আধি হল বড়’)।
আধো আধোঅসম্পূর্ণ; অপরিস্ফুট ভাবার্থে দ্বিত্বশব্দ (শিশুদের আধো-আধো বুলি)।
আধো-আধোপনাব্যঙ্গে- শিশুসুলভ/বালকোচিত ব্যবহার।
আনকা/আনোখাঅচেনা; অজানা; ঠিকানাহীন; বেঠিক (আনকা লোকের আনাগোনা বেড়ে গেছে।)
আনকোরাঅনিভজ্ঞ; কাঁচা (আনকোরা যত নন-ভায়োলেন্ট ননকো’র দলও নন খুশী’)।
আনচানঅস্থির; চঞ্চল (‘মা বলিতে প্রাণ করে আনচান’)।
আন-তাবড়িএলোমেলো; আন্দাজে (আনতাবড়ি ঢিল ছুঁড়ছে)।
আনন্দে/আলহাদে আটখানাবেজায় খুশি; হেসে কুটিকুটি
আনাগোনা/যানাজন্মমৃত্যু (দুনিয়াদারি মুসাফিরি সিরিফ আনা/যানা)।
আনাচ-কানাচ/আনাচে-কানাচেঅস্থানকুস্থান; চারপাশ; জানা-অজানা সবস্থান (ঘরের আনাচকানাচ সমস্ত জায়গা খুঁজেছি)।
আন্দাজে ঢিল ছোঁড়া/মারাঅনুমাননির্ভর কাজ করা; অনিশ্চিতসিদ্ধির লক্ষ্যে চেষ্টা করা।
আপকা ওয়াস্তেনির্দিষ্টব্যক্তির জন্য; চাটুকার; তোষামুদে
আপ-খোরাকিনিজের খরচে খাবার ব্যবস্থা করার চাকরির সর্ত।
আপদবিরক্তি-উৎপাদনকারী ব্যক্তি বা বস্তু (এই আপদটা বিদায় হলে বাঁচি)।
আপদ-বালাই/ আপদ-বিপদনানা সমস্যা; বিপদকাল (আপদ-বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত); সমার্থক বাগধারা- ঝড়ঝাপটা; ঝুট-ঝঞ্ঝাট/ঝামেল; দুঃখদুর্দশা; বাধাবিঘ্ন; বাধাবিপত্তি ইত্যাদি।
আপন কথাই পাঁচকাহনআত্মপ্রচারসর্বস্ব; নিজের প্রাধান্য স্থাপনের চেষ্টা; আত্মঘোষ।
আপন কোলে ঝোল টানানিজের স্বার্থ আগে দেখা।
আপন গণ্ডাস্বার্থ (আপনগণ্ডা সবাই বুঝে নেয়)।
আপন গাঁয়ে কুত্তা শেরনিজের এলাকায় সবাই প্রভুত্ব করে; সমার্থক বাগধারা- আদাড় বনে শিয়াল রাজা, ভেড়া গোয়ালে বাছুর মোড়ল ইত্যাদি।
আপনা-আপনিনিজ থেকে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে; স্বতঃস্ফুর্তভাবে; স্বাভাবিকভাবে (যদি থাকে নসীবে, আপনা আপনি আসিব)।
আপন পাঁঠা লেজে কাটাস্ব-ইচ্ছায় কাজ করার পক্ষে ওকালতি।
আপন/আপনার পায়ে কুড়োল মারানিজের অনিষ্ট ক্ষতি বা সর্বনাশ করা।
আপনা হাত জগন্নাথনিজের সবকিছু ভালো; নিজের প্রয়াসই যথার্থ (আপনহাত জগন্নাথ পরের হাত এঁটোপাত)।
আপনার ঢাক আপনি বাজানো/ পিটানো/ আপনার কথা পাঁচকাহননিজেই নিজের গুণগান করা; আত্মপ্রশংসা করা; নিজের কথা পুনঃপুনঃ উল্লেখ করা; নিজের বক্ত্যব্যকে গুরুত্ব দেওয়া।
আপনি বাঁচলে বাপের নামনিজে বেঁচে থাকলে তবেই পিতৃপুরুষের নাম বলা যায়; নিজের স্বার্থের প্রতি সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া।
আপ্তবাক্যঅভ্রান্ত বাক্য; দোষগুণ বিচার না করে সত্য বলে গৃহীত বাক্য; সমার্থক বাগধারা- বেদবাক্য
আফশোস/আফসোসআক্ষেপ; দুঃখ; পরিতাপ; মনস্তাপ (যা গেছে তা গেছে এখন আফশোস করে কোন লাভ নেই, ভুলের শাস্তি পেতেই হবে।)
আবড়াখাবড়াঅসমান, উঁচু-নিচু, বন্ধুর (আবড়া-খাবড়া রাস্তায় চলা মুশকিল); সমার্থক বাগধারা- এবড়োখেবড়ো; উভড়খাবড়া (হিন্দি)
আবদারঅন্যায়/অসঙ্গত/যুক্তিহীনদাবী (জনগ্ণের সব আবদার সমর্থনযোগ্য নয়)
আবর্জনাঅবাঞ্ছিতব্যক্তি (আধুনিক ধারণায় বৃদ্ধরা সংসারের আবর্জনা)।
আবহমানকালঅদ্যবধি; চিরকাল; বহুকাল (আবহমানকাল ধরে এই নিয়ম চলে আসছে।)
আবহাওয়াঅবস্থা; পরিস্থিতি; হাল (দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া খুবই খারাপ।)
আবাগের বেটা ভূতহতভাগ্যের বেটা অপদার্থ; কাণ্ডজ্ঞানহীন- গালিবিশেষ
আবাদী জমিচাষযোগ্য জমি।
আবোল-তাবোলঅর্থহীন/অসংলগ্ন/এলোমেলো কথাবার্তা (কি আবোল-তাবোল বকছো?)
আব্রুআভিজাত্য; মর্যাদা; মানসম্ভ্রম (জীবনে আব্রু আছে, মরণে কোন আব্রু নাই)
আভাঙা জলঘাটের যে জল ভোরবেলায় কেউ স্পর্শ করে নি (হিন্দু বিয়ের আচারে এই জলের প্রয়োজন হয়।)
আম না হতে আমসি/ আমসত্বআগাম সুখকল্পনা; কারণের আগে কাজ; সমার্থক ভাগধারা- কালনেমির লঙ্কাভাগ; গাছ না উঠতে এককাঁদি; গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল; রাবণের ছাদনাতলা; রাম না হতেই রামায়ণ; হবুছেলের অন্নপ্রাশন ইত্যাদি।
আমগন্ধিকাঁচাগন্ধযুক্ত; যে খাবার পুরো রান্না হয়নি।
আমড়া কাঠের ঢেঁকিঅপদার্থ, কোন কাজের নয়; সমার্থক বাগধারা- কলাখোলার নৌকা, ধানকাঠের তক্তা, ধানগাছের মই ইত্যাদি।
আমড়া গাছে আম ফলে নাকারো চরিত্র ও কর্ম তার বংশকুলের বিপরীত হয় না; বিপরীত বাগধারাও সত্য, যেমন- দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ।
আমতা আমতা করাইতস্ততঃ বা দ্বিধা করা; ‘হাঁ কি না’ খোলসা না-করা; স্বীকারের ইচ্ছা নেই আবার অস্বীকারের উপায়ও নেই (অত আমতাআমতা করতে হবে না যা বলার বলে ফেল)
আমল দেওয়াকর্ণপাত না করা; গুরুত্ব/পাত্তা/প্রশ্রয় না দেওয়া; গ্রাহ্য না করা (সবার কথায় আমল দিও না।)
আমসি হওয়া (মুখ)শুকিয়ে বিবর্ণ বিশীর্ণ হওয়া।
আমি/আমিত্বঅহঙ্কার; অহম্বোধ (আমি যাবে মলে)।
আমির-উমরা/ আমীর ওমরাহসমাজের গণ্যমান্য; প্রভাবশালী; বিত্তশালী; প্রচুর ক্ষমতাসম্পন্ন লোকজন (আমির-উমরাদের চালচলন/মেজাজই আলাদা।)
আমে দুধে এক হয় আঁটি যায় গড়াগড়িউপরতলায় মিল হয় সাধারণে বঞ্চিত হয়।
আয়নায় মুখ দেখানিজের সুন্দর মুখের মত চরিত্রও সুন্দর করা।
আয়ারামদলবদল করে অন্যদল থেকে আসা সদস্য।
আয়েন্দাভবিষ্যৎ; আগামী দিন (আয়েন্দা কিছু হ’লে তার জন্য তুমি দায়ী থাকবে)।
আয়াশ/আয়েশআরাম; আমোদ; বিলাস; স্ফূর্তি (কাজের ফাঁকে একটু আয়েশ করে নিচ্ছি)।
আয়াসযত্ন; প্রচেষ্টা; প্রয়াস (বিনা আয়াসে সিদ্ধি নাই)।
আয়ীবুড়িপাকাপাকা কথা বলা অল্পবয়স্কা মেয়ে।
আর একটু হলেবাড়াবাড়ি হ’লে; বিষয় গুরুতর হলে (আর একটু হলে পড়ে যেতাম)।
আর কতই বাবেশি কিছু নয়।
আরশির মুখে পড়শি দেখানিজের মত অপরকে ভাবা।
আরশুলা আবার পাখিউত্তমের সাথে অধমের তুলনা হয় না।
আলগা থাকাকোন কিছুতে জড়িত না হওয়া; নির্লিপ্ত থাকা।
আলগা ভাবআন্তরিকতাহীন; লোক দেখানো ভাব।
আলগা মন্তব্যঅনভিপ্রেত/অসঙ্গত/বেফাঁস মন্তব্য
আলগা মুখঅসংযত কথাবার্তা।
আলটপকাআচমকা; অপ্রত্যাশিতভাবে; বিনাচেষ্টায় হঠাৎ (আলটপকা কোন মন্তব্য করো না।)
আল্টিমেটামশেষ সতর্কীকরণ।
আলটুফালটু/আলতুফালতু কথাআজেবাজে/অনাবশ্যক/অর্থহীন কথাবার্তা (আলটুফালটু বকো না।)
আলাইবালাইআপদবিপদ (আলাইবালাই এমন কথা বলতে নেই; আলাইবালাই দূর হোক)।
আলাদীনের প্রদীপঅবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটানোর কারিগর; আশ্চর্য জিনিষ।
আলাভোলাসহজ-সরল; বেখেয়ালি; নিতান্ত ভালমানুষ; সমার্থক বাগধারা ভোলে-ভালা; সাদাসিধে।
আলালের ঘরের দুলালধনীর ঘরের অতি আদুরে ও প্রায় ক্ষেত্রে বখাটে ছেলে।
আলুথালুঅসংবৃত; অসংযত; শিথিল অর্থে- অনুকার শব্দ (বিবস্ত্র বেশে আর আলুথালু কেশে)
আলুর দোষচরিত্রদোষ; লাম্পট্য; মেয়েদের প্রতি পুরুষের মাত্রাতিরিক্ত ও অশোভন আসক্তি
আলেয়া/ আলেয়ার আলোদুর্লভ বা বিভ্রান্তিকর বস্তু; ধাঁধা; প্রহেলিকা; মিথ্যা মায়া (আলেয়ার পিছনে ছুটিও না; জীবন আঁধারময় হবে)।
আলেয়ার পিছনে ছোটাদুর্লভ বস্তুর পিছনে ছোটা
আলোয় আলোয়দিনেদিনে; দিন থাকতে থাকতে (আলোয়-আলোয় বাড়ি ফিরতে হবে)।
আল্লাকা পেয়ারা হো গয়ামারা গেছেন।
আল্লার কুদতৎঅলৌকিক কাণ্ড।
আশকারাপ্রশ্রয় (তোমার আশকারাতেই ছেলেটা উচ্ছন্নে গেছে।)
আশনাইপ্রণয়; আসক্তি, অবৈধ প্রণয় (‘মন যত বলে আশা নাই, হৃদে তত জাগে আশনাই’)।
আশপাশকাছাকাছি জায়গা; নিকটবর্তী চারদিক ভাবার্থে- অনুকার শব্দ (আশপাশ থেকে আওয়াজ আসছে)।
আশমান-জমিন ফারাকদূরতিক্রম্য ব্যবধান; বিশাল পার্থক্য (দুই ভাইয়ের আচার-ব্যবহারে আশমান-জমিন ফারাক।); সমার্থক বাগধারা- আকাশ পাতাল তফাৎ।
আশমানের চাঁদ হাতে পাওয়াদুষ্প্রাপ্য জিনিস লাভ করা।
আশীসিক্কা ওজনের চড়প্রচণ্ড চপেটাঘাত।
আষাঢ়ে গল্পআজগুবি/কাল্পনিক কাহিনী;
আষ্টেপৃষ্ঠেচারিদিক থেকে; সর্বাঙ্গ ঘিরে; সারা অঙ্গে (দুস্কৃতিটাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা হল।)
আসতে কাটে যেতে কাটেউভয়সঙ্কট; যে অবস্থা থেকে সহজে নিস্তার পাওয়া যায় না; সমার্থক বাগধারা- শাঁখের করাত।
আসতে ছাগল, যেতে পাগলতর-সয়-না; ধৈর্যহীন।
আসন টলাক্ষমতা হারানোর উপক্রম।
আসন্নকালবিপদকাল; মরণকাল (রাজার আসন্নকাল সমাসন্ন।)
আসমান-জমিন ফারাকদূরতিক্রম্য ব্যবধান; সীমাহীন পার্থক্য (দুইভাইয়ের মধ্যে আসমান জমিন ফারাক।)
আসমানের চাঁদ হাতে পাওয়াদুষ্প্রাপ্য জিনিস লাভ করা।
আসর গরম করাবিচিত্র কথাবার্তায় উদ্দীপনা সৃষ্টি করা; সরস কথায় সভায় উপস্থিত সকলকে মোহিত করা (আসর গরম করা বক্তৃতা)।
আসর জমানো/মাতানোআসরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা; বাকচাতুর্য এবং হাস্যপরিহাসে আসরকে আনন্দোচ্ছল করা।
আসরে নামাকাজে অবতীর্ণ হওয়া।
আসল থেকে সুদের কদর বেশিবাবা-মায়ের কাছে ছেলে-মেয়ে থেকে নাতি-নাতনির টান বেশি।
আসা-যাওয়াদেখা-সাক্ষাৎ; মেলামেশা (পাশাপাশি থাকে অথচ উভয়ের মধ্যে আসা যাওয়া নেই।)
আসানসোলে কয়লা চালানযার আছে তাকে আরও দেওয়া; তোষামোদ করা; সমার্থক বাগধারা- তেলা মাথায় তেল দেওয়া; ব্যঙের মাথায় ছাতি ধরা ইত্যাদি।
আসে যায়গুরুত্বপূর্ণ; ক্ষতিবৃদ্ধি হয়।
আসতে যেতে গলা কাটাসকল ব্যবহারেই বঞ্চনা করা; সমার্থক বাগধারা- শাঁখের করাত।
আস্ত কেউটেভয়ানক বিপজ্জনক লোক।
আস্ত-না-রাখামেরে হাড়গোড় গুড়িয়ে দেওয়া।
আস্ত পাগলপুরাদস্তুর পাগল।
আস্ত হনুমানবিদ্রুপে- সকল অপকর্মের হোতা
আস্ত শয়তানচুড়ান্ত শয়তান; শয়তানের সর্দার (তুমি একটা আস্ত শয়তান।)
আস্তানা গাড়াসাময়িকভাবে কোথাও বসবাস শুরু করা।
আস্তিন গুটানোমারামারি করতে উদ্যত; ভয় দেখানো (রাজনৈতিক ময়দানে দুইদল আস্তিন গুটাচ্ছে।)
আহাম্মকের গলায় দড়িআহাম্মক বারবার দোষ করে ও শাস্তি পায়।
আহারনিদ্রাযাবতীয়/সব কাজ (আমি আহারবনিদ্রা ছেড়েে তোমার জন্য বসে আছি)।
আহুঃ সপ্তপদী মৈত্রীযার সাথে সাত পা হাঁটা যায় তার সাথে বন্ধুত্ব হয়।
আহ্লাদী পুতুলঅন্যায় আবদারকারী শিশু।
আহ্লাদে আটখানা/ডগমগঅত্যন্ত/বেজায় খুশি; আনন্দে আত্মহারা (আহ্লাদে আটখানা, মূল্য পাঁচআনা)।
আহ্লাদে গোপালঅনুচিত আদরে বিগড়ানো ছেলে।
আহ্লাদে ফুটকড়াইআনন্দের আতিশয্যে অত্যধিক বাকস্ফূর্তি।
আহ্লাদে ফুটিফাটাহেসে লুটোপুটি।
আহ্লাদের প্রহ্লাদআদরের সন্তান।
ইঁদুর কপাল নিতান্ত মন্দভাগ্য
ইঁচড়ে পাকা অকালপক্ব
ইলশে গুঁড়ি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
ইতর বিশেষ পার্থক্য
উত্তম মধ্যম প্রহার / মারধোর করা
উভয় সংকট দুই দিকেই বিপদ
উড়নচন্ডী অমিতব্যয়ী
উলু বনে মুক্ত ছড়ানো অপাত্রে/অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান করা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *